আল আমিন হোসেন
রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর পাংশায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে বাঙালি সনাতন সম্প্রদায়ের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রবিবার (১৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের আগে মণ্ডপগুলোতে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। হিন্দু সধবা নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে নাচ।
বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে পৌরশহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে এক এক করে প্রতিমা পাংশা আদি মহাশ্মশানে নিয়ে আসে স্ব স্ব মন্দির কমিটি। শঙ্খ-উলুধ্বনি ও ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী-বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে হাজারো মানুষ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য এখানে অংশ নেন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি পাংশা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ কৈলাশ থেকে মর্ত্যে আসেন। আর দশমীর দিন বিসর্জনের মাধ্যমে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয় তাকে। দেবীর আগমন ও প্রস্থানের মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত নানা আয়োজনে চলে দুর্গোৎসব।
পাংশা আদি মহাশ্মশান প্রাঙ্গণে দেবীকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন ও পাংশা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। রাত ৮টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবছরের সকল আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো: মাসুদুর রহমান রুবেল, পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশিদুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রান্তোষ কুন্ডু, সদস্য সচিব বিধান কুমার বিশ্বাস সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, পাংশা উপজেলায় এবছরে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই যথাযথভাবে উৎসবটি পালিত হয়। এবছরে উপজেলায় ১০০টি পূজা মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন ও পুলিশ।