চিরনিদ্রায় শায়িত হলো মাইলস্টোন স্কুলের ছাএ রাঙামাটির সন্তান উক্যচিং মারমা।

প্রকাশিত: ৭:০৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৫

 

মিন্টু কান্তি নাথ রাজস্থলীঃ
চোখের জল আর ভালোবাসায় মাইলস্টোন স্কুল ছাত্র উক্য মারমাকে শেষ বিদায় জানাতে আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী ও পিতামাতার চোখের জল আর ভালোবাসা দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হলো ঢাকার মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহত হওয়া ছাত্র রাঙামাটির সন্তান উক্য চিং মারমাকে। বুধবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৪টায় রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার তিন নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নে কিউংধং পাড়ার পারিবারিক শশ্মানে তাকে দাহ করা হয়েছে। এর আগে সকাল থেকেই চলে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আচার ও শেষকৃত্যানুষ্ঠান। যেখানে উক্য মারমাকে শেষ বিদায় জানাতে দুর দুরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজন,এলাকাবাসী ছুটে আসেন। স্মৃতিচারণ করে তার জন্য সকলে প্রার্থনা সভা করেন। এদিকে উক্য মারমার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গতরাতে ছুটে আসেন রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব রুদ্র। এসময় তিনি বলেন, এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।

একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পিতা উসাইমং মারমা ও তেজিপ্রু মারমা। তারা কোনভাবেই ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেন না। বারবার ছেলের কথা স্মরণ করে মূর্ছা যাচ্ছিলেন। বিদায় বেলায় ছেলের জন্য সকলের কাছে আর্শীবাদ কামনা করেছেন তারা।

ক্যন্টেনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের উক্যচিং মারমার
শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তার বিষয়ে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, তিনি বলেন উক্যচিং মারমা মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন এবং সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাও ছিল তার মধ্যে। আমি তাকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পেয়েছি,পরে উচ্চ শিক্ষার লক্ষে ঢাকায় নিয়ে যান তার পরিবার।

উক্যচিং মারমার বাবা- মা সহ আত্মীয় প্রতিবেশি বন্ধু বান্ধব এবং সকলেরই একটি কথা বলে,এভাবে আর মৃত্যু চাই না, বিশেষ করে জন বহুল এলাকায় আর কোন ধরনের বিমান প্রশিক্ষণসহ ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ যেখানে জনসাধারণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে এমনটা না করার দাবী জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টায় ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনী একটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্থ হয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেখানেই স্কুলে অবস্থান করছিলো রাঙামাটির ছেলে উক্য চিং মারমা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে ঢাকা বার্ণ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সে মাইলস্টোন স্কুলের ৭ম শ্রেণীর একজন মেধাবী ছাত্র ছিলো।